বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বলয়ে নরপিশাচ ঘাতক দলের অদম্য রক্তপিপাসা সেইদিন রক্তগঙ্গায় ভেসে গিয়েছিল। রাজনীতির সাথে সামান্যতম সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও নারী-শিশুরাও বাদ যায়নি ঘৃণ্য কাপুরুষ এই ঘাতকচক্রের হাত থেকে। যে শিশু নিরাপরাধ-সহজ-সরল-নিষ্পাপ, জানত না রাজনীতি-ক্ষমতা-অর্থ-স্বার্থ-লোভ কী? রেহায় পায় নি অবুঝ ছোট্ট সোনা শেখ রাসেল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ওই ভয়াল রাতে বর্বরোচিত ঘটনার ভয়াবহ চিত্র এই নিরীহ দেশমাতৃকা কালের পথক্রমায় নিবেদিত প্রাণোৎসর্গের ইতিহাস কারবালাকেও হার মানায় সেই পলাশির ক্রন্দনকে ম্লান করে দেয়। শিশু রাসেল অঙ্কুরেই হারায় পিতার স্বপ্নে স্বাধীন সোনার বাংলা কান্না শোনা যায়। টুঙ্গিপাড়ায় ধানমন্ডি বত্রিশ, মুজিব বাড়ির আঙিনায় স্বর্গীয় আত্মারা ঘুরে বেড়ায় ডাকে ইশারায় আয় আয় ছোট্ট শিশুরা আয়, পিতার এই স্মৃতিময় বাংলায়।