পাশের মানুষ— এমনকি কাছের মানুষটিকে চিনতে পারছি না আমরা। চিনতে পারছি না নিজেকেও। কেউ কাউকে চিনতে দিচ্ছি না। সর্বত্র যেন অলঙ্ঘনীয় দেয়াল, অমোচনীয় নিষ্ক্রিয়তা। হন্যে হয়ে খুঁজে ফিরছি প্রেম; সে প্রেম হয়তো ধরাছোঁয়ার মধ্যেই আছে। একটু মমতা দিয়ে বুঝে নিতে পারছি না। লিখতে চাইছি কবিতা— কিন্তু সেই প্রগাঢ় অভিনিবেশ নেই জীবনে। উপমা ও উৎপ্রেক্ষার পেছনে একটা নীরব বিকেল খরচ করার সময়টুকুও নেই। বিপ্লব প্রয়োজন— কিন্তু নেই ঘুরে দাঁড়াবার স্পর্ধা ও সাহস। জীবনকে বিপন্ন করার দীক্ষা নেই, নেই বেরিয়ে পড়ার শক্ত প্ররোচনা। ‘তোমারে চিনি না আমি’ এক স্থবির সময়ের গল্প। আত্ম-আবিষ্কারের বেদনাদায়ক দলিল। উত্তর বাংলার এক বিশ্ববিদ্যালয় শহরে শুরু হয়ে এ কাহিনি প্রদক্ষিণ করে এসেছে একটি প্রজন্মের মানসপট। একাধারে এ গল্প ব্যক্তিমানুষের এবং সময়ের নৈর্ব্যক্তিক ইতিহাস।