মোসাদ : ইসরায়েলের দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা

(0 reviews)
Sold by: Inhouse product

  • Title: মোসাদ ইসরায়েলের দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা
  • Author: রোনাল্ড পেইন
  • Translator: শিহাব শাহরিয়ার
  • Publisher : সূচীপত্র
  • ISBN: 9789849638919
  • Edition: 1st Published, 2022
  • Number of Pages: 288
  • Country: Bangladesh
  • Language: Bengali
Price:
৳475 /pc
Discount Price:
৳370 /pc

Quantity:
(In stock)

Total Price:
Share:

মোসাদ ইসরায়েলের দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা:

আমেরিকার সিআইএ বা রাশিয়ার কেজিবিও নয়; ইংল্যান্ডের MI-6, ভারতের RAW কিংবা পাকিস্তানের আইএসআই-ও নয়। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক, নিষ্ঠুর ও দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার অপর নাম মোসাদ। ১৯৪৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর ইসরায়েলের কথিত প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড বেন গুরিয়নের হাতে মোসাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। বেন গুরিয়ন ছিলেন জায়নিজমের কট্টর হোতা এবং ইজরায়েলে হিব্রু ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা প্রদানকারী। ১৯৭২ সালে Black September নামক ফিলিস্তিনি বিদ্রোহীরা মিউনিখ অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ১১ জন ইসরায়েলি ক্রীড়াবিদকে হত্যা করে। ঐ কর্মকাণ্ডে জড়িত একজন ফিলিস্তিনি বিদ্ৰোহী বাদে অন্যদের বিভিন্ন দেশে গিয়ে গুপ্তহত্যা করা ছিল মোসাদের লোমহর্ষক অপারেশন। কয়েকজন হামাস নেতাকে হত্যার অভিযোগও রয়েছে মোসাদের বিরুদ্ধে। পত্র-বোমা পাঠিয়ে হত্যা করার কৌশল প্রথম আবিষ্কার করে মোসাদ এছাড়াও ইরাকের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র উড়িয়ে দেওয়া এবং ইরানের দুজন বিজ্ঞানীকে হত্যা করার তথাকথিত কৃতিত্ব (?) রয়েছে মোসাদের। সব মিলিয়ে মোসাদ ইসরায়েল রাষ্ট্রের ফুসফুস; দেশের ভরসা ও শত্রুদের সাক্ষাৎ যমদূত। সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র বাঁচানোর জন্য ইসরায়েল যেভাবে আয়রন ডোম ব্যবহার করে, তেমনি মোসাদ ইসরায়েলের অস্তিত্ব রক্ষায় ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই মোসাদ ছাড়া ইসরায়েলের অস্তিত্ব কল্পনা করা এক দুঃস্বপ্ন।

কোনো ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিই ইসরায়েলের মোসাদের মতো রহস্যজনক নয়। সিআইএ-র ভাষ্যমতে, 'মোসাদ হলো বিশ্বসেরা'; মোসাদ দম্ভ করে বলে, মোসাদে বিশ্বের সবচেয়ে অনুগত ও দেশপ্রেমিক এজেন্ট রয়েছে। মোসাদই উল্লেখযোগ্য উদ্ধার অভিযানের মাধ্যমে এন্টেবে থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়িয়ে এনেছিল। মোসাদ এজেন্টরা ইসরায়েলি আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের টার্গেট হিসেবে শনাক্ত করেছিল, যাতে ইরাকের পারমাণবিক চুল্লি উড়িয়ে দেওয়া যায়। ইসরায়েলি এজেন্টরাই আর্জেন্টিনায় অ্যাডলফ আইচম্যানকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করেছিল। তাকে ইসরায়েলে নিয়ে এসে হলোকাস্টের অভিযোগে  বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল। ১৯৪০-র দশক থেকেই ইসরায়েলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে মোসাদ গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রথমবারের মতো রোনান্ড পেইন মোসাদের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনা করেছেন। পড়তে থ্রিলারের মতো মনে হলেও প্রতিটি তথ্যই সত্য ও বাস্তব। বইটি বীর, খলনায়ক, ইন্টেলিজেন্সের মাস্টার এবং অপহরণ, নাৎসি অনুসন্ধান, উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন এসপিওনাজ, পারমাণবিক অস্ত্র চোরাচালান ও বিদ্রোহ দমনে অপারেশনের কাহিনি দিয়ে পরিপূর্ণ।

There have been no reviews for this product yet.